কখনো কারোর মুখে রোবট শব্দটি শুনলে আমাদের চোখের সামনে সর্বপ্রথম ভেসে ওঠে লোহার আবরণে মোড়া যা দেখতে মানুষের মত কিন্তু যার ভেতরে সমস্ত রকম তারের বিন্যাসে ভর্তি ।
হ্যাঁ ঠিক তাই রোবট হলো একটি মেশিন যা মানুষের সমস্ত নির্দেশ পালন করে। সহজ ভাবে বলা যেতে পারে রোবট হল মানুষেরই তৈরি যন্ত্র যেখানে মানুষ তার জ্ঞ্যানে থাকা প্রোগ্রামিং কোড প্রবেশ করিয়ে সৃষ্টি করে রোবটের, বিশেষভাবে যার দ্বারা মানুষ তার যেকোনো কষ্টসাধ্য কাজ খুব সহজেই করিয়ে নিতে পারে কোনো একটি রোবট কে মানুষ এমন প্রোগ্রাম করে যাতে এটি মানুষের সমস্ত কষ্টকর ও জটিল কাজগুলিকে সে খুব সহজেই এবং অল্প সময়ে সঠিক ভাবে করে দিতে পারে।
আমরা এতক্ষন ধরে যা আলোচনা করলাম তার থেকে আপনি হয়তো রোবট সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছেন এটি বিশেষত কি, এবার যাতে রোবট কি সেই প্রশ্নটি মনের মধ্যে থেকে মুছে যায়! এই জন্য আজকের আমাদের ব্লগটিতে রোবট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
Table of Contents
রোবট কি? What is Robot?
“Robot” শব্দটির উদ্ভব হয়েছে “রোবোটা” থেকে এবং যার অর্থ এমন এক যন্ত্র যা পরিশ্রম করতে সক্ষম বা মানুষের দাসত্ব করতে পারবে। রোবটকে সৃষ্টি করা হয় বিভিন্ন জটিল কাজকে অনেক সহজ পদ্ধতিতে করার জন্য।
একজন দক্ষতা সম্পন্ন প্রোগ্রামার একটি যান্ত্রিক রোবট কে এমন ভাবে প্রোগ্রাম করে যেন রোবটটি কোনো এক জটিল পরিবেশেও কাজ করতে সক্ষম হয়। একটি রোবট নিজে নিজেও কাজ করতে পারে আবার এটিকে ব্যবহারকারী রিমোটের মাধম্যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। Robot হুবহু মানুষের মতন দেখতে হতে পারে অথবা অন্য যেকোনো আকৃতির হতে পারে।
প্রধানত এক কথায় বলতে হলে, রোবট হলো এমন একটি যন্ত্র যেটি মানুষের থেকে এক বা একাধিক তথ্য ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে সেই তথ্য বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে একটি আউটপুট গঠন করে দেবে।
একটি যান্ত্রিক রোবট এর কিছু নির্দিষ্ট গুণাবলী রয়েছে :
- Robot আমাদের বাস্তব জগতের সাথে Sensors এবং actuators এর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে। অর্থাৎ সহজ কথায় বলতে গেলে রোবট একটি পরিবেশ কে অনুভব করার ক্ষমতা রাখে।
- একটি রোবটের কার্য করার পিছনে মূলত লুকিয়ে থাকে একটি জটিল প্রোগ্রামিং। অর্থাৎ একটি রোবট তেমনি কাজ করবে যেরকমভাবে মানুষ তাকে প্রোগ্রাম করবে।
- Robot পরিবেশের বিভিন্ন বস্তু নিয়ে কাজ করতে পারে।
আরো পড়ুন : 7 Most Helpful AI Tools You Should Know
রোবট কিভাবে কাজ করে ? How Robot Works?
Robot কি জিনিস সেটি আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছি কিন্তু একটি রোবট কিভাবে কাজ করে সেটি আমরা সাধারণভাবে জানি না। একটি Robot কিভাবে কাজ করবে তার পিছনে লুকিয়ে থাকে মূলত তিনটি জিনিস। সেটি হলো Hardware, Software এবং AI (Artificial Intelligence).
Hardware :
Hardware হলো রোবটের এমন একটি অংশ যার সাহায্যে একটি Robot আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। একটি রোবটের Hardware-এ বিভিন্ন অংশ অবস্থান করে যেমন Motors, Sensors, Power supply, Controller, end Effectors এবং আরও অনেক কিছু। এই সমস্ত অংশ মিলিয়ে একটি রোবটের Physical অংশটি গঠন করা হয়।
একটি মোটরের কাজ যেমন রোবটের বিভিন্ন অংশ যেন তার অবস্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম হয় তা নিশ্চিত করা তেমনি রোবটের মধ্যে অবস্থান করা একটি Sensor-এর কাজ হলো বাস্তব জগতের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। Power Supplier হলো এমন একটি অংশ যা প্রয়োজনীয় Power Supply করে, আবার Processor এর কাজ হলো বিভিন্ন রকমের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো এবং এরকম অনেক Hardware দিয়ে একটি রোবটের সম্পূর্ণই Physical Structure (বাইরের আবরণ ) তৈরী হয়।
Software :
একটি Software হলো অনেকটা ব্রিজের মতো। এর প্রধান কাজ একটি রোবটের ব্রেন এবং Hardware-এর মাঝে সংযোগ স্থাপন করে তোলা।
AI (Artificial Intelligence) :
একটি রোবটের সবচেয়ে মূল্যবান অংশ হলো রোবটের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা AI (Artificial Intelligence). রোবটের ব্রেন হলো এই অংশটি, যার মাধ্যমে একটি রোবট মানুষের নির্দেশ দেওয়া বা তথ্য প্রদান করা কে সম্পূর্ন বিশ্লেষণ করে কোনো একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে নিয়ে আসে বা কোনো কাজ সম্পন্ন করে। এই AI বা Artificial Intelligence সাধারণভাবে কোনো একজন দক্ষ Developer দ্বারা তৈরী করা হয়। একটি নির্দিষ্ট রোবটের AI যত শক্তিশালী হবে রোবটটি ততটাই কাজ করতে সক্ষম হবে।
একটি রোবটের AI আরও developed বা তার আরও উন্নতিকরণের জন্য একজন দক্ষ Developer তার সাথে এক বা একাধিক Programing Language ব্যবহার করতে পারেন। যেমন একটা রোবটের AI গঠন করার জন্য যে Programing Language গুলি ব্যবহৃত হয় সেগুলি হলো –
- Python
- Lisp
- Java
- C++
- R
- Julia
রোবট কত কত ধরনের হয়ে থাকে?
Robot কত ধরণের হয়ে থাকে তার উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন। প্রত্যেকটি রোবটের কিছু নির্দিষ্ট গুণাবলী থাকে, যার কারণে রোবটের শ্রেণী বিভাগ সম্মন্ধে বলা সম্ভব নয়।
তবে একটি আপেক্ষিক বিষয় হিসেবে আপনি একটি নির্দিষ্ট Robot-কে কোনো একটি ধরণের মধ্যে রাখতে পারেন । নিম্নলিখিত অংশের রোবটের কয়েকটি ধরণ নিয়ে আলোচনা করা হলো কিন্তু এর বাইরেও অনেক ধরণ রয়েছে। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক –
- Humanoids Robot: এটি হলো সেই ধরণের Robot যা আমাদের চোখ বন্ধ করলে চিত্রটি ফুটে ওঠে। Humanoids রোবট হলো এমন এক রোবট যা দেখতে অবিকল একটি মানুষের মতো। উদাহরণ হিসেবে আপনি রোবট সোফিয়া-র কথা ভাবতে পারেন।
- Industrial Robot: শিল্প কারখানায় যে Robot গুলি মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে সেগুলিকে সাধারণত Industrial রোবট বলা হয়। এই রোবট গুলি সাধারণত পুনরাবৃত্তি মূলক কাজ করে।
- Healthcare Robot: আমাদের দেখা Robot গুলি স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে তাদের কে সাধারণত Healthcare Robot বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবামূলক কাজ থেকে শুরু করে রোগীর অপারেশন পর্যন্ত Healthcare রোবট করে থাকে।
- Drone: এই Robot গুলিকে মনুষ্য বিহীন বলা হয়। উদাহরণ গুলির মধ্যে রয়েছে গ্লোবাল হকের মতো সামরিক ব্যবস্থা যা দীর্ঘদিন ধরে নজরদারির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। তবে বলা বাহুল্য এবং মজার বিষয় হলো Drone হলো একপ্রকার Robot.
- Military & Security Robot: আমাদের সৈনিক বিভাগে র বিভিন্ন কাজে এই বিভাগের রোবট গুলো কাজ করে। যেমন PackBot Robot-টি ইরাক এবং আফগানিস্তান কে সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ঠিক তেমনি BigDog ব্যবহার করা হয় আর্মিদের বিভিন্ন ভারী জিনিস বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং Security-র জন্য ব্যবহার করা হয় Robot Obalt.
- Research Robot: কোনো একটি নির্দিষ্ট রোবটের জন্ম সাধারণত একটি গবেষণাগার কিংবা বিশ্ব বিদ্যালয়ে হয়ে থাকে। উৎপন্ন এই রোবটগুলি মূলত গবেষকদের গবেষণায় সাহায্য করে থাকে।
- Self-Driving Cars Robot: একটি tesla গাড়ির মতো যে গাড়িগুলি নিজে থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলতে পারে সেই গুলোকে Self-Driving Robot বলা হয়।
- Underwater Robot: উল্লিখিত এই Robot গুলির প্রিয় স্থান হলো জল। এই Robot গুলির মধ্যে রয়েছে “Aquanot”-এর মতো গভীর-সমুদ্রের সাবমার্সিবল, “Wash One”-র মতো ডাইভিং হিউম্যানয়েড এবং “ACM-R5H snakebot” এর মতো জৈব-অনুপ্রাণিত সিস্টেম।
রোবট ও রোবটিক্স এর মধ্যে পার্থক্য কি ?
রোবট কি হতে পারে তা আমরা আগেই বলে দিয়েছি। রোবট হলো এমন এক অটোমেটিক যন্ত্র যাকে এমন ভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে সেটি কোনো একটি বিশেষ কাজ সঠিক পদ্ধতিতে এবং নির্ভুল ভাবে করতে পারে।
কিন্তু এই রোবট তৈরী করা এবং রোবট নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করাকে বলা হয় রোবটিক। আপনি যদি একটি রোবট বানাতে চান তাহলে সেই নিয়ে পড়াশুনা করতে হলে আপনাকে রোবটিক নিয়ে এগোতে হবে। মূল কথা হলো Technology-র দুনিয়ায় রোবটিক এর মূল অংশ হলো একটি রোবট।
রোবট বা রোবটিক্সের তিনটি আইন
একটি মানুষের যেমন করে বিভিন্ন আইন মেনে চলতে হয় তেমন ভাবেই একটি রোবট কেও নির্দিষ্ট কিছু আইন নিয়ম মেনে চলতে হয়। এই ক্ষেত্রে রোবটের কাছে তিনটি আইন প্রদান করা হয়। রোবটিক্সের এই তিনটি আইনকে “Asimov’s Laws” বলা হয়ে থাকে যা তৈরি করেছেন “Isaac Asimov”। সেই আইনগুলি হলো –
১) প্রথম আইন: একটি রোবট কোনও মানুষকে আঘাত করতে পারে না বা নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে কোনও মানুষকে ক্ষতি করতে দেয় না ।
২) দ্বিতীয় আইন: একটি রোবটকে অবশ্যই মানুষের দ্বারা প্রদত্ত আদেশগুলি মেনে চলতে হবে যেখানে আদেশগুলি প্রথম আইন-এর সাথে জড়িত হবে।
৩) তৃতীয় আইন: একটি রোবটকে অবশ্যই তার নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবে, যতক্ষণ না এই ধরনের সুরক্ষা প্রথম বা দ্বিতীয় আইনের মর্যাদা দিয়ে হয়।
পরবর্তী সময়ে আরো একটি আইন এর পরে যোগ করা হয়েছে যা সকল আইনের আগে রাখতে হবে এটি zeroth law বা শূন্য আইন নামেও পরিচিত।
যেটি হলো: “একটি রোবট মানবতার ক্ষতি করতে পারে না, বা রোবোটের নিষ্ক্রিয়তার দ্বারাও যেনো মানবতার কোনো রকম ক্ষতি না হয়”।
রোবট এবং কম্পিউটারের মধ্যে পার্থক্য :
একটি নির্দিষ্ট রোবট তার চারপাশের পরিবেশকে Navigate করতে সক্ষম হয়, অপরদিকে কম্পিউটারের পক্ষে তা করা কঠিন বিষয়। উদাহরণ হিসেবে, একটি গাড়ি তৈরির কারখানায় রোবট এবং কম্পিউটার দু’টি জিনিসেরই প্রয়োজন হয়।
কিন্তু, রোবটের কাজ হচ্ছে একটি গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ একসাথে করে একটি গাড়ি তৈরিতে সাহায্য করা। তবে একটি কম্পিউটার শুধু সেই কাজকে monitor করতে সক্ষম। বাস্তব জগৎ-এ এর কোনো পরিবর্তন কম্পিউটারের করা সম্ভব হয় না।
Robot সম্পর্কে কিছু মজাদার তথ্য
চলুন Robot সম্পর্কে কিছু মজাদার Fact জেনে নেওয়া যাক
- রোবট (Robot) শব্দটি এসেছে Czech শব্দ ‘Robota’ থেকে। যার মানে হচ্ছে “কঠিন কাজ”।
- জর্জ ডেভল (George Devol) প্রথম ডিজিটাল চালিত রোবট আবিষ্কার করেন।
- রোবট সেটাই করে যা তাকে তার প্রোগ্রামে বলে দেওয়া হয়।
- যেই রোবটগুলো দেখতে মানুষের মত হয় তাদের Android বলা হয়।
- ১৯৪২ সালে Isaac Asimov ‘রোবটের তিনটি আইন’ আবিষ্কার করেন।
- John McCarthy ১৯৫৬ সালে AI বা Artificial Intelligence আবিষ্কার করেন।
- গবেষকরা অনুমান করেছেন যে 2040 সালের মধ্যে রোবটগুলি মানুষের মতো স্মার্ট হয়ে উঠতে পারে।
- ১৯৯৬ সালে “Shakey” নামে একটি রোবট AI এর সাহায্যে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্বের প্রথম রোবট হয়ে ওঠে।
- ২০২৫ সালের মধ্যে, জাপানে ১ মিলিয়ন শিল্প রোবট থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
- বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ২০৫০ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে মানব-রোবটের বিয়ে বৈধ হবে।
Robot কি মানুষের মতো ভয় পেতে পারে?
বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে কোন কিছুকেই অসম্ভব বলা চলে না তারই মধ্যে পড়ে – Robot কি কখনো মানুষের মতো ভয় পেতে পারে? এখনের জন্য তা সম্ভব নয়, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির উন্নতি এখন আকাশ ছোয়া, যার ফলে হয়তো এখনো রোবটের কাছে সেই সক্ষমতা আসেনি। কিন্তু পরবর্তী সময় হয়তো ডেভলপাররা এমন বিশেষ কোনো প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে রোবটের মধ্যে তার নিজস্ব আবেগ জাগিয়ে তুলতে পারে।
এক কথায় বলা যেতে পারে রোবটের পক্ষে রাগ, খুশি, মায়া এমন আবেগ অনুভব করা এবং প্রকাশ করা কোনভাবেই এখন সম্ভব না। ভবিষ্যতে রোবট এই রকমের আবেগ আদতে প্রকাশ করতে পারবে কিনা তা পুরোপুরি নির্ভর করছে ডেভলপারদের ওপর ।
রোবটের কি আমাদের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ?
একটি রোবট যেমন মানব সমাজের উন্নতির সবচেয়ে বড় একটি দিক, ঠিক সেরকমই হয়তো আবার ক্ষতির আরেকটি দিক। একথা বলার একটাই কারণ যে কোনো যন্ত্র সব সময় ঠিকভাবে চালিত হতে পারে না, যা অনেক বছর বা অনেক সময় ধরে অনবরত কাজ করে চলেছে কোনো না কোনো সময় তার মধ্যে ছোট রকমের ভুল ত্রুটি এলে সেটি মানুষের জীবনের অত্যাধিক ঝুঁকিপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে।
সেইরকম ভাবে কোনো রোবট তার মধ্যে চলতে থাকা প্রোগ্রামে যদি কোনো রকমের ভুল বা ত্রুটি আসে তবে সেটি কোনো এক পর্বে এসে মানুষের জীবনে ঝুঁকির সম্ভবনা আরো বাড়িয়ে তোলে। অনেক সময় খবরের কাগজে আমরা দেখে থাকি এরকম তথ্য, যেখানে দেখা যায় যে কোনোরকম যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কেউ তার জীবন হারিয়ে বসেছে। তাই সকল জিনিসের ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে ভালো, কিন্তু তার অত্যাধিক ব্যবহার জীবনের কোনো একটা পর্বে এসে ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
তাছাড়া, অনেকে মনে করে যে ভবিষ্যৎ-এ এই রোবট হয়তোবা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করবার চেষ্টা করবে এবং হয়তো বা তারা সফলও হয়ে উঠতে পারে। ২০১৭ সালে বর্তমান বিশ্বের সব থেকে ধনী ও প্রচুর সম্পত্তির অধিকারী ব্যক্তি Elon Musk ঠিক এইরকম একটি কথাই বলেছিল। তিনি সরকারের দ্বারা অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে তার বক্তব্য বলেন যে, “বর্তমান প্রযুক্তির সময়ে সবচেয়ে ভয়ের জিনিস হচ্ছে রোবট বা AI। যা মানবজাতির ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠতে পারে”। শুধুমাত্র যে লোকের মুখে তা নয়, বরং অনেকে এটি বা এরকম ছবি তাদের দ্বারা পরিচালিত সিনেমার মাধ্যমে সকলের কাছে ফুটিয়ে তুলেছেন যেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি মানব সমাজ পুরোপুরি ধ্বংসের মুখে এবং সবচেয়ে উপরে দাঁড়িয়ে রোবট যারা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
উপসংহার
এই ছিল আজকের আলোচনা। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি রোবট সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পেয়েছেন। আপনার কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করতে পারেন।